Skip to main content

গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেনীর ছাত্রের লাশে আবারো গুলি চালায় পুলিশ - নিরুপায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন বাবা!!!

 **গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেনীর ছাত্রের লাশে আবারো গুলি চালায় পুলিশ - নিরুপায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন বাবা!!!



- পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে প্রাণ গেলো নরসিংদীর নবম শ্রেনীর নিষ্পাপ তাহমিদ ভুঁইয়া তামিমের । তবে রাবার বুলেট দিয়ে নিষ্পাপ তামিম কে হত্যা করে ও ক্ষান্ত হয় নি পুলিশ, তামিমের লাশের উপরেও করেছে আবারো গুলি বর্ষণ আর এই করুন দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছেন অসহায় তামিমের পিতা।


- গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী শহরের জেলখানার মোড়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় নবম শ্রেনীর ছাত্র তামিম। জানা যায়,ওই দিন দুপুরে এক সাথে খাবার খেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।তারপর তাহমিদ তার বোন এর সাথে খেলা করছিল ফোন নিয়ে।বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন এবং মা ছিলেন রান্না ঘরে। হঠাৎ তাহমিদ বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে যায়। অনেকসময় ধরে ছেলেকে না পাওয়ায় বাবা বাইরে ছেলেকে খুজতে যান।কিন্তু তততক্ষণে তাহমিদ মিশে গেছে ছাত্রদের ভিড়ে কোটা আন্দোলনে।এই সময় পুলিশ ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে, তাহমিদ এর গায়ে রাবার বুলেট লাগে। তাহমিদ কে এসময় ছাত্ররা নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে,, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সেই নিষ্পাপ শিশু তাহমিদের লাশ স্ট্রেচার এ করে নিয়ে ছাত্ররা স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনে।এই সময় পুলিশ আবার ও গুলি চালায় আন্দোলনকারীদের উপর। পুলিশ এর গুলি তাহমিদ এর লাশকে ও বিদ্ধ করে আবারও,আর এই করুন দৃশ্য দেখছিলেন তার বাবা প্রায় ১০০ গজ দূরে থেকে। নিরুপায় বাবা নিজেকে সামলাতে না পেরে চিল্লানো শুরু করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে মসজিদে নিয়ে যান। সেইদিন রাতেই ২ দফা জানাজায় তাহমিদ কে দাফন করা হয় ।

কি দোষ ছিল তাহমিদের??কেনো তাকে এমন অকালে প্রাণ হারাতে হলো?কেনো তার বাবাকে নিজের ছোট্ট ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য দেখতে হলো?? বাংলাদেশের নাগরিক হওয়াই কি তাদের একমাত্র অপরাধ,, এইজন্য তাদের এত বড় মাশুল দিতে হলো? এইসব হত্যার জন্য কি অজুহাত দেখাবে সরকার??এই নিষ্পাপ প্রানকে হত্যার কি শাস্তি হবে?? নাকি বিভিন্ন অজুহাতে সরকার এই বিষয়গুলো চাপা দিয়ে দিবে??

Comments

Popular posts from this blog

*"শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত"*

*"শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত"*    বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগের পর। এই সরকার দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছেl অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান সদস্যগণ:এই ব্যক্তিদের পেশাগত পরিচিতি বা পটভূমি অনুযায়ী বাংলায় একটি নোট নিচে দেওয়া হলো: ### প্রধান উপদেষ্টা: **ড. মুহাম্মদ ইউনূস**: ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বাংলাদেশি সামাজিক উদ্যোক্তা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার পথিকৃৎ এবং ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ### উপদেষ্টাগণ: **সালেহ উদ্দিন আহমেদ**: সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর। **ড. আসিফ নজরুল**: ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক। **আদিলুর রহমান খান**: আদিলুর রহমান...

Title: Gaza Crisis Update: Humanitarian Toll and Global Response

Gaza Crisis Update: Humanitarian Toll and Global Response As of early April 2025, the humanitarian situation in Gaza continues to deteriorate amidst ongoing conflict and military operations. Escalation in the South The Israeli military has recently established a new security buffer called the "Morag Corridor" across southern Gaza. This corridor aims to sever the city of Rafah from the rest of the Strip, intensifying pressure on Hamas. The move has raised concerns over further displacement and access to humanitarian aid. Rising Casualties and Displacement Gaza’s Health Ministry reports over 50,000 Palestinians killed since the escalation began in October 2023, with a significant number being women and children. In just the past two weeks, over 280,000 people have been forced to flee their homes due to renewed fighting. The situation on the ground remains dire, with limited access to clean water, electricity, and medical supplies. Aid Workers Targeted The risks for human...

গাজায় উত্তেজনার নতুন ধাপ: অভিযান, মানবিক সংকট ও যুদ্ধবিরতির অচলাবস্থা

ইসরায়েলি সামরিক অভিযান: মোরাগ করিডোর: ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় একটি নতুন নিরাপত্তা করিডোর “মোরাগ করিডোর” স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে রাফাহ শহরকে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটিকে মিশর-গাজা সীমান্তে থাকা ফিলাডেলফি করিডোরের মতোই একটি উদ্যোগ বলেছেন। শুজাইয়া অভিযানে নতুন ধাপ: গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা আবারও স্থল অভিযান শুরু করেছে। এটি অঞ্চলটিতে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের অভিযান। লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ভেঙে ফেলা। নাগরিক ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক প্রভাব: বেসামরিক হতাহতের ঘটনা: সম্প্রতি গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু। মানবিক কর্মীদের মৃত্যু: ১৫ জন মানবিক কর্মী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও একজন জাতিসংঘ কর্মীও রয়েছেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চিহ্নিত অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। শিশু হতাহত: জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ শিশু গাজায় নিহত বা আহত হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচন...