সিলেটে বন্যার সবশেষে পরিস্থিতি

সিলেটে বন্যার সবশেষে  পরিস্থিতি।
কোমরের সমান পানি
সিলেটে বন্যার সবশেষে  পরিস্থিতির অবনতি ঘটেই চলেছে,পানির নিচে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন অঞ্চল সাথে সাথে আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল ও। পবিত্র ঈদুল আযহা ও কেটেছে এই বন্যার মধ্যেই ।প্রায় ৭.৬ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে সিলেট শহরের ২৮টি ওয়ার্ড পানির নিচে চলে গেছে ।



সিলেট জেলার ১৪টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় ৭৬১টি গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে।সিলেট শহরের ২৮টি ওয়ার্ড পানির নিচে রয়েছে, যা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মোট ওয়ার্ডের প্রায় ৬৭%।


বন্যার কারণে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৫২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রেখেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পানি, খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ।খালিয়াজুরি উপজেলায় ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র পানির নিচে রয়েছে ।

সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি ১৯৩ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে ।গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২১৪ মিলিমিটার এবং চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ।

বন্যায় সিলেট শহর 


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সরকারী সংস্থা এবং এনজিও গুলো(রেড ক্রিসেন্ট )বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করছে। ১৯তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ১৩০ জন সদস্য উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবারকে উদ্ধার করেছে ।স্বাস্থ্য বিভাগ ৬৯টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন এবং ঔষধ সরবরাহ করছে । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬৯ মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ টাকা নগদ এবং ১৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে ।


আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পানি দ্রুত নামবে না এবং পুনর্বাসন কাজ শুরু করতে আরও সময় লাগবে ।

Comments